গান যেমন একাকী গায়কের নয়, রান্নাও তেমনই নয় শুধু সূপকারের। রান্না তখনই সার্থক, যখন তা অন্যের রসনায় তোলে পরিতৃপ্তির কল্লোল। ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী নিজে যে রন্ধনপটীয়সী ছিলেন তা নয়, কিন্তু ভালো রান্নার সমঝদার ছিলেন। দেশে বা বিদেশে যখনই কোনও স্বাদু রান্না খেয়েছেন, তখনই জিজ্ঞাসা করে লিখে রেখেছেন তার রন্ধনপ্রণালী। এইভাবে একটি খাতায় জমে উঠতে থাকে তাঁর সারা জীবনের এক অমূল্য সংগ্রহ। সেই খাতাটি পরে তিনি উপহার দিয়ে যান পূর্ণিমা ঠাকুরকে। ইন্দিরা দেবীর সংগৃহীত সেই রান্নার খাতা থেকেই এ-গ্রন্থের অধিকাংশ রন্ধনপ্রণালী আহৃত। অধিকাংশ, কিন্তু সব নয়। লেখিকার মা, নলিনী দেবী, নিজে খুব ভালো রাঁধতেন। তিনি ছিলেন ঠাকুরবাড়িরই মেয়ে। তাঁর কাছে বহু রান্না শিখেছেন পূর্ণিমা ঠাকুর। সেইসব রান্না ও নিজের সংগ্রহ করা বৈচিত্র্যময় বেশ কিছু রান্নাও এই বইতে শিখিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে ‘ঠাকুরবাড়ির রান্না’ মহামূল্য এক সোনার খনি।
Reviews
There are no reviews yet.