Rabijibani Complete Set (1to 9)

Sale!

9,995.00 7,995.00

(স্টক সীমিত )

বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন

দূরাভাষ- ৮০১৩২২২৯৯৬
CALL NOW- 8013222996
  • রাবিজীবনী (১-৯)

‘একজন অমৃতপুত্রকে আমরা তখনই আবার সহজভাবে তাঁর মর্ত্য-রূপে ভাবতে পারি, যখন সময়ের ব্যবধানে অনেক অবান্তর সঞ্চয় ক’রে ঝড়ে, আবার সমস্ত তথ্য প্রকাশিত হবারও বাধা থাকে না। রবীন্দ্রনাথকে তাই অপেক্ষা করতে হবে, হয়তো দীর্ঘকাল—অন্তত যতদিন না ‘রবীন্দ্রজীবনী’ পরিবর্ধিত হবার পরেও নতুনতর তথ্য নিয়ে অনুরূপ গ্রন্থ আরও বেরোয়।’—চল্লিশ বছর আগে সেই-যে লিখেছিলেন বুদ্ধদেব বসু, সেই অপেক্ষারই যেন যোগ্য অবসান ঘটালেন প্রশান্তকুমার পাল তাঁর ‘রবিজীবনী’ গ্রন্থে। নতুনতর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, নবতর তথ্যের মিশেল ঘটিয়ে, যুক্তিসিদ্ধভাবে যাবতীয় তথ্যকে যাচাই করে, একটির-পর-একটি খণ্ডে তিনি তুলে ধরে চলেছেন এ-যাবৎ অনাবিষ্কৃত এক মর্ত্য-রূপী রবীন্দ্রনাথকে। উচ্ছ্বাসের বাষ্পে অস্পষ্ট নয় সেই মূর্তি, কবিকৃত ভাষ্যে খণ্ডিত নয় তার স্বরূপ। কবিকেও যে জীবনচরিতে খুঁজে পাওয়া সম্ভব, সে-কথা জানাতেই প্রশান্তকুমার পালের ‘রবিজীবনী’। ‘রবিজীবনী’র এই চতুর্থ খণ্ডের কালসীমায় রয়েছে ১৩০১ থেকে ১৩০৭ (১৮৯৪-১৯০১) পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও কর্মজীবনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। এর সূচনায় পরিণত যৌবনের বিচিত্র সৃষ্টিশীলতা, পরিণতিতে আসন্ন প্রৌঢ়ত্বের প্রশান্তি। ‘সাধনা’ থেকে ‘ভারতী’ হয়ে ‘বঙ্গদর্শন’-এর প্রস্তুতি-পর্ব। সাধনায় যে-প্রতিভা সমকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনকে তীক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করেছে, ভারতীতে সেই প্রতিভা ইতিহাসের আদর্শ নির্ধারণে ব্রতী। এ যেন বঙ্গদর্শনে অতীত ইতিহাসের পটভূমিকায় সমকালীন সমাজ ও রাজনীতিকে প্রতিস্থাপনের ভূমিকা। বহু অচিহ্নিত রবীন্দ্রনাথকে যুক্তি-তর্ক দিয়ে চিহ্নিত করে, সমকালীন সৃষ্টিকে বিশ্লেষণ করে এই ভূমিকাটিকে স্পষ্ট করে। তুলেছেন প্রশান্তকুমার। এই পর্বটিকে সঠিকভাবে বুঝে নিতে পারলে তবেই পরবর্তীকালের আদর্শবাদী, ভবিষ্যতের দিশারী রবীন্দ্রনাথকে বুঝে নেওয়া সম্ভব। এই খন্ড শেষ হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর সমাপ্তিতে ও বিংশ শতাব্দীর সূচনায়। উনিশ শতকের বহু বদ্ধমূল বিশ্বাসের ভিত কীভাবে শতাব্দীর শেষ পর্বে টলে গিয়েছে—রবীন্দ্রনাথের ভাবজীবনের বিকাশের মধ্য দিয়ে বিশ্ব-ইতিহাসের এই বিবর্তনের চেহারাটিও এই গ্রন্থে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

 

প্রশান্তকুমার পাল

প্রশান্তকুমার পাল-এর জন্ম : ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪৫ (১৮ মে, ১৯৩৮ খ্রীস্টাব্দ) কলকাতায়। শৈশব, কৈশোর ও যৌবন কলকাতারই স্কুলে-কলেজে। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে পাশ করে প্রেসিডেন্সি কলেজ। সেখান থেকে ১৯৫৮ সালে বাংলায় অনার্স নিয়ে বি-এ পাশ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এম এ পাশ করেছেন ১৯৬০ সালে। ১৯৬১ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপনার কাজ পান কলকাতার আনন্দমোহন কলেজে। অধ্যাপনা করতে-করতেই রবীন্দ্রজীবনের বিবর্তনের সঙ্গে মিলিয়ে ধারাবাহিকভাবে রবীন্দ্ররচনা পড়তে গিয়ে অনুভব করেন যে, রবীন্দ্রজীবনীর এক বিশাল অংশ তমসাবৃত অবস্থায় রয়েছে। উৎসাহী হয়ে শুরু করেন গবেষণা। ১৯৭২ থেকে সেই নতুনতর গবেষণার সূত্রপাত। ১৯৮২তে ‘রবিজীবনী’র প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়। প্রকাশমাত্রই এ-গ্রন্থ সর্বস্তরে তোলে আলোড়ন। ১৯৮৪তে বেরোয় ‘রবিজীবনী’র দ্বিতীয় খণ্ড। একইভাবে সমাদৃত এই নতুন খণ্ডও। প্রথম দুটি খণ্ডেরই প্রকাশক-ভূর্জপত্র। ১৯৮৫ সালে ‘রবিজীবনী’র জন্য দুটি বিশিষ্ট পুরস্কার পান। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহদাস পুরস্কার ও সুরেশচন্দ্র-স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার। রবীন্দ্রজীবন নিয়ে গবেষণার কাজেই পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করতে উদ্যোগী প্রশান্তকুমার ১৯৮৫ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠী প্রবর্তিত বিশ্বভারতীতে অশোককুমার সরকার স্মৃতি বৃত্তির প্রথম প্রাপক রূপে শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রভবনে গবেষণায় রত।

Additional information

Weight 10 kg
Dimensions 32 × 27 × 15 cm

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.

whatsapp
whatsapp