শিশিরকুমার ভাদুড়ী। বাংলা রঙ্গমঞ্চের মুকুটহীন সম্রাট। অভিনয়ে তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। একথা আপামর দর্শকই শুধু নয়, রঙ্গমঞ্চে তাঁর প্রবল প্রতিপক্ষরাও মানতেন। অভিনয়ে তিনি মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতে পারেন দেশি-বিদেশি সব দর্শককে। কিন্তু অভিনয় নয়, তাঁর বেদনা অন্যখানে। শিশিরকুমারের স্বপ্ন ছিল, বিদেশি প্রকরণের শৃঙ্খল থেকে বাংলা নাটককে মুক্ত করে, তাকে তার নিজস্ব ভূমিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবেন। অথচ যতবার নতুন কিছু করতে চেয়েছেন, দর্শকরা প্রত্যাখ্যান করেছে। শিল্পের কাছে সৎ থাকতে গিয়ে ব্যাবসার দিকটি সামলাতে পারেননি। ক্রমশ দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন। বরানগরের ওই বাড়ির শেষ আশ্রয় থেকেও আজ দূর করে দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সন্ধ্যার অন্ধকারে নিরাভরণ ঘরটিতে একরাশ বই, রবীন্দ্রনাথ-শেকসপিয়রের পঙ্ক্তি আর কঙ্কাবতীর স্মৃতি নিয়ে তাঁর রাজকীয় পদচারণা। সেই কঙ্কাবতী, যে তাঁর সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেছিল। কিন্তু মাত্র বাইশ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগে তার খেদোক্তি শিশিরের ভাইয়ের কাছে, তোর দাদা কিছুতেই আমাকে বিয়ে করলেন না।… এক বর্ণময় জীবন নিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক ও অনন্যসাধারণ উপন্যাস ‘নিঃসঙ্গ সম্রাট’।
Reviews
There are no reviews yet.